পর্ব ০২ - প্রেমের ফাঁদ: বিশ্বাসের ফাটল

হাসান এখন আর রুপার কথা জিজ্ঞাসা করে না,সবসময় আমার কথা। আমি কি করি, খেয়েছি কি না, সব আমার খুব ভালো লাগে।

আমি কম কথা বলি এটা হাসানের পছন্দ না।৷ "ববি, তুমি আমার সময়
দিচ্ছো না। আদর করে ববি ডাকে। আমি বললাম, "আমার অনেক গুলো বাচ্চার পড়াতে হয়। " হাসন জিজ্ঞাসা করে, "কত টাকা পাও?" আমি বলি ৫ হাজার টাকা। "আমি এই নাম্বারে ১০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দিচ্ছি, তোমার
সব সময় আমার।"

আমি আজ খুব স্বার্থপরের মত কাজ করলাম রুপার সাথে। আমি যে কখন হাসানের এতো ভালোবেসে ফেললাম বুঝতে পারলাম না। তার কথার প্রেমে পড়ে যায়, আপনি থেকে তুমি তে আসি। হাসান কে সময় দিতে যেয়ে রুপার সাথে সেভাবে সময় কথা হয় না।

রুপার মন খুব খারাপ। আমাকে দেখে জড়িয়ে ধরে কাঁদছে।কিছু দিন আগে ওর মা মারা গেছে । এখন আবার কি হলো কাঁদতে কাঁদতে বললো, হাসান বিয়ে করেছে, ওর বাবা মা জোর করে বিয়ে দিয়েছে।আমার চোখে ও পানি এসে গেছে। রুপার কান্না দেখে আমার মনে হচ্ছে পৃথিবীর সব ছেলেরা বেইমান। আমার নিজের কাছে খুব অপরাধী মনে হচ্ছে। সারাদিন খুব খারাপ গেল।

কিছু ভালো লাগছে না। আমি বাসায় যেয়ে নেট অন করি। হাসান ২৮ টা ছবি পাঠিয়েছে। দেখি কি পাঠালো! বেড়াতে গেছে, বন্ধুদের সাথে অনেক খুশি। আমি জিজ্ঞাসা করলাম এতো ছবি দিলে বৌ এর ছবি কোথায়?হাসান ৫০ টা হাসির ইমোজি দিয়ে দিল। আমি চুপ। হাসান বলে আরে পাগলী রুপা কে যদি বিয়ের কথা না বলতাম তাহলে ও আমার পিছু ছাড়তো,,, হা হা হা,,,,,ববি রুপা কি কিছু বলেছে।

হাসান, এবার বলো ববি, তোমাদের বাড়িতে আমার আব্বা মা কে কবে পাঠাবো? এতো তাড়াতাড়ি কিসের হাসান? মাত্র কয়দিন পরিচয় হলো। কথা বলি, দুজন দুজনার ভালো ভাবে চিনি জানি তারপর....

হাসান, আমি তোমার হারাতে চাই না, " ববি তুমি আমার জীবনের সব। আমি আমার থেকেও তোমার বেশি খেয়াল রাখবো।" "হাসান, তুমি আমার কাছে অনেক মূল্যবান। আমি তোমার অপেক্ষায় সারাজীবন কাটিয়ে দেব তা-ও অন্য কাউকে বিয়ে করবো না।"

ববি, তোমার ঠকানা দেও, যাবো না ভয় নেই।
"হাসান,তুমি না খুব জেদ্দি!! আচ্ছা লেখ.... "

ববিতার বাবা সকাল ১১ টার সময় ফোন দিয়ে বললো, "ববিতা, বাসায় আয় খুব বিপদ হয়ে গেছে। ববিতা তাড়াতাড়ি বাসায় যেয়ে যা দেখে, আকাশ ভেঙে পড়ে ওর মাথায়,,,,
চলবে,,,,,,,,