ববিতা দূর থেকে দেখে বাসার সামনে গাড়ি। আস্তে আস্তে ববিতা গাড়ির কাছে, যেয়ে দেখে হাসনাত আর তার বাবা মা। ববিতা সালাম দিলে তারা কেউ উত্তর দিল না। হাসান জিজ্ঞেস করলো তুমি ববি? "কেনো তোমার কি অন্য কেউ মনে হচ্ছে।" হাসানের বাবা মা কোনো ভাবেই ববিতা কে মেনে নেবে না তারা গাড়ি নিয়ে ঢাকা চলে যায়। হাসান কোনো উপায় না দেখে ববিতা কে বিয়ে করে ঢাকার একটা বন্ধুর বাসায় নিয়ে আসে। ববিতা কে বলে যতদিন মা বাবা রাজি না হয় ততদিন কষ্ট করো।
হাসানের বন্ধু এসে ববিতা কে বলে আপনার দেখতে কে কে গিয়েছিল।
ববিতা বললো সব কথা, ববিতা চুপ করে বসে আছে। হাসানের বন্ধু বলে, ভাবি আমরা গ্রামে যাবো। আপনার থাকবার জন্য একটা মেয়েদের রুম দেখে এলাম। মেয়েদের ম্যাচ সব মেয়েরা চাকরি করে আপনার সমস্যা হবে না। আপনার কাছে কোনো টাকা পয়সা আছে। ববিতা উত্তর দিল না।ভাবি আমার হাতের অবস্থা খুব খারাপ। ববিতা তার কানের দুলটা খুলে দিল,,
হাসানের বন্ধু কানের দুল বেঁচে যে টাকা পেল, তা দিয়ে কিছু কাপুড় খাবার খুব দরকার এমন কিছু কিনে দিয়ে মেচে উঠিয়ে দিল।
আজ দশ দিন হাসানের কোনো খোঁজ খবর নেই। ববিতা কি করবে বুঝতে পারছে না। একটা অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন আসে "ববি কেমন আছো? আমি খুব অসুস্থ তাই তোমার সাথে যোগাযোগ করতে পারছি না। আমার বন্ধু সব বলেছে। আমি কাল সকালে তোমার নিতে আসবো বাসা ঠিক আছে।" ববিতা কেঁদে কেঁদে চোখ ফুলিয়ে ফেলেছে। ববিতার যত রাগ হোক হাসান কথা বললেই সব রাগ কষ্ট শেষ হয়ে যায়। ববিতা সব কিছু গুছিয়ে রেডি হয়ে বসে আছে। হাসান এসে ববিতা কে একটা বড় বাসায় নিয়ে যায়। হাসনাত বলে আমরা এখানে থাকবো।আমাদের সুখের সংসার হবে।
"ববি তুমি খুশি?" ববিতা কখনো কল্পনা ও করেনি এমন একটা ঘরে থাকতে পারবে। হাসান পৃথিবীতে আমার মত এতো সুখী কেউ নেই। তুমি আমার স্বামী যে সবার বিরুদ্ধে যেয়ে আমাদের ভালোবাসার পূর্ণতা দিয়েছো। তুমি পৃথিবীর শ্রেষ্ট স্বামী, আমার সংসার খুব ভালো চলছে। হাসান ব্যাবসার কাজে বাইরে যায়। আমি রান্না করে বসে থাকি আমি সব রকম চেষ্টা করছি, শহরের মেয়েদের মত হবার।হাসানের কড়া নিষেধ আট তলায় না যেতে, কারণ ঐ জায়গায় ওর বাবা মা থাকে তারা জানলে সমস্যা হবে। ববিতা হাসানের কথার একটা ও এদিক ওদিক যায় না।
হাসান বললো আমি কাজের জন্য দশ দিন বাইরে থাকবো, তোমার যত সমস্যা হোক ঘরের দরজা খুলবে না।আমি তোমার খাবার, ঔষধ পানি সব এনে দিয়ে গেলাম। ববিতার খুব মন খারাপ একা একা এতো দিন থাকবে কিভাবে। হাসান চলে গেছে দুই দিন ববিতার খুব খারাপ লাগছে। পাশের রুমে একটা বাবু আছে। জানালা দিয়ে কথা বলে। বাবুটার খুব কোলে নিতে মন চায়। একটা দুইটা কথা বলতে বলতে পাশের বাসার ভাবির সাথে খুব ভালো একটা সম্পর্ক হয়ে যায়। একদিন কবিতা জিজ্ঞেস করে কৌতূহল বসত বাবুটার নাম? রাহি, রাহির আম্মু ভাবি আট তলায় কখনো গেছেন। বাড়ির মালিক কি খুব রাগী,,,
রাহির আম্মু উত্তর দেয় এ বাসা সাত তলা বাড়ির মালিক বিদেশ থাকে।ববিতা আর কোনো কথা বলে না। ভাবে আমি দেখবো কয়তলা, বাড়ির মালিক কোথায় আছে সব।নিচে দারোয়ানের কাছে যায় সব জিজ্ঞেস করে হাসানের সম্পর্কে। ববিতা অবাক এটা হাসানের বাড়ি না, হাসানের বাবা,মা,মা-রা গেছে অনেক আগে। রুমে যেয়ে হাসানের ফোন দেয়। ফোন বন্ধ,,,,। সকালে কে যেনো কলিং বেল দিচ্ছে সাথে দরজা জোরে জোরে ধাক্কা দিচ্ছে। মনে হচ্ছে ডাকাত ববিতা দরজার সামনে গিয়ে জিজ্ঞেস করে কে কে? দরজা খুলে দেয়। খুব সুন্দর করে সাজগোছ করা একটা মেয়ে সাথে একটা ছেলে। ববিতা বলে কাকে চান? এতো সকালে এভাবে কারও বাসায় কেউ আসে ছেলে টা বলে," তুই ববিতা? তোর স্বামী হাসান,,,,, "
ববিতা হাসি হাসি মুখে উত্তর দেয় হ্যাঁ। আর কোথায় যাবা দুই জন ববিতা কে মারা শুরু করে। তোর জন্য আমার বোনের সংসার ভেঙে যাওয়ার অবস্থা। ওর দুটো বাচ্চা আছে। ওরা সম্পর্ক করে বিয়ে করেছে। দশ বছর ববিতা আপনাদের কোনো ভুল হচ্ছে। আমার স্বামী এমন না। মেয়ে টা তার ফোন থেকে ছবি দেখায়। ববিতা কে এতো মারে ওরা ভাবে মরে গেছে, তখন বাইরে থেকে দরজায় তালা দিয়ে চলে যায়। ববিতা দুই দিন অজ্ঞান হয়ে ঘরে মধ্যে পড়ে থাকে,,,,,,